সেমিনারে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। বিএমইটি ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট, এবং বিএমইটি ও ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস ও জেবিবিআরএর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে, যা তরুণ ও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেতে সক্ষম।
শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের প্রতিনিধি পরিচালক মিতসুরু মাতসুশিতা বলেন, অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশিদের প্রতি আগ্রহী এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশি মেধাবীদের প্রতিভা লালন করা আমাদের দায়িত্ব। এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, বাংলাদেশকে তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল প্রতিবছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়, যা ৩০০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা চলছে। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা জাপানের চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী।
জেইটিসিও চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি বাংলাদেশের শ্রমিকদের সম্ভাবনা ও ভাষা শিক্ষা ঘাটতির চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে জাপানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা বাড়বে, যা দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাবে, যা বাংলাদেশকে আরও দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ দেবে। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।